সোমবার সকাল থেকেই সচিবালয় প্রাণহীন ছিল। প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও সচিব ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসের সচিবালয়ে আসেননি। তারা বাসায় থেকে দফতরে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও দাফতরিক কাজ করেছেন।
এছাড়া কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ উপস্থিতি দিয়ে দফতর পরিচালনার নির্দেশ এখনও বলবৎ রয়েছে।এবারও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদুল আজহার ছুটিকালীন বাধ্যতামূলক কর্মস্থলে থাকতে হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের। গার্মেন্টস শ্রমিকদেরও ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ছেড়ে বাড়ি যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
তারপরেও যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা বাড়ি গেছেন তারা সোমবার সকালে রাজধানীতে ফিরে অফিসে যোগ দিয়েছেন। অনেককেই ব্যাগ হাতে অফিসে আসতে দেখা গেছে। তবে ঢাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন পেশাজীবী যারা এবারের ঈদে বাড়ি গেছেন তারা হয়তো কয়েকদিন পরে ফিরবেন।
প্রতিবছর ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে মন্ত্রী সচিবসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর রোজার ঈদের পরবর্তী সময় ছিল সাধারণ ছুটি। আর কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে সোমবার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় কোলাকুলি হয়নি। দফতরে কর্মরত বয়স্ক এবং সন্তানসম্ভাবা নারীদের অফিসে আসা একেবারেই নিষেধ করেছে জনপ্রশান মন্ত্রণালয়। অধিকাংশ মন্ত্রী বাসায় থেকে ই-ফাইল ও ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অফিসের কাজ সারছেন।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সোমবার থেকেই অফিস খুলেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় অফিস করতে হবে।’
তিনি জানান, মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন। সর্বত্র মাস্ক ব্যবহার করছে। সংক্রমণও ঠেকাতে হবে আবার মানুষকে কর্মহীনও করা যাবে না। মানুষ যেন বিপদে না পড়ে, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন ঠিক থাকে সেসব বিষয় চিন্তা করেই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার ওপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম ও এস এম আব্বাস।