জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম

জিডিপি প্রবৃদ্ধিসদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে (মোট দেশজ উৎপাদন) জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। অর্থবছরের শুরুতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে ধরা হয় ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

বিবিএস’র প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। স্থিরমূল্যে এই জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে সেবা খাত থেকে এসেছে ৫৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। টাকার অংকে এর পরিমাণ ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। শিল্প খাত থেকে এসেছে ৩১ দশমিক ১৩ শতাংশ বা আট লাখ ৩১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। আর কৃষি খাত থেকে এসেছে তিন লাখ ৪৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা বা ১৩ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৪ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯০৯ ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল এক হাজার ৭৫১ ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৬১০ ডলার।

এদিকে গত ৮ জুন প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস ২০২০ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে তা আরও কমে ১ শতাংশে আসতে পারে।

৩ জুন প্রকাশিত এক রিপোর্টে আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯-এর প্রভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে।