জন্মাষ্টমীতেও করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনা

জন্মাষ্টমীশ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমী যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। একইসঙ্গে করোনা থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেনছেন তারা।

প্রতিবছর দেশের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করেন। তবে এবার করোনার কারণে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান যথারীতি ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে পালিত হয়েছে। সব অনুষ্ঠানমালা মন্দিরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। সমাবেশ, শোভাযাত্রা বা মিছিল এবার হয়নি।


শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুরু হয় গীতাযজ্ঞ। রাতে হয় কৃষ্ণ পূজা। গীতাযজ্ঞ পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। তিনি বলেন, ‘ভগবান যুগে-যুগে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য আবির্ভূত হয়েছেন। এই করোনা কালে আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করছি। তিনি জরা, ব্যাধিমুক্ত এক পৃথিবী আমাদের দেবেন। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সব মানুষকে করোনা মহামারি থেকে রক্ষা করবেন।
অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে তিনি গোটা বিশ্বকে মুক্ত করবেন। মহামারীকাল শেষ হলে মানুষে মানুষে প্রীতি গোটা পৃথিবী সুন্দরতম হয়ে উঠুক, আজ সে প্রার্থনা করেছি।’
বিভিন্ন মঠ মন্দির ছাড়াও আজ রাতে ঘরে-ঘরে অনুষ্ঠিত হয় কৃষ্ণ পূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সাড়ে পাঁচ হাজার বছরেরও আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে অশুভ শক্তিকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠায় ধরাধামে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তার আবির্ভাব বিশ্বের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করে। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষকে রক্ষায় তিনি পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করেন, অন্ধকার সরিয়ে পৃথিবীকে আলোয় উদ্ভাসিত করেন। খবর বাসস।