মানুষ স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পেলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে: প্রধান বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধান বিচারপতিদেশের মানুষ স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি এসব মন্তব্য করেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বিষয়ক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জাজেস কমিটি।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব, যাকে কোনও বিশেষণে বিশেষায়িত করা যাবে না। ভাষা আন্দোলন, বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয় দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তি সংগ্রাম, জয় বাংলা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাঙালির স্বাধিকার, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ যাই বলি না কেন এ শব্দগুলোর অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি বলে তার জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কেটেছে। আদর্শ এবং মূল্যবোধ থেকে তিনি এক পা পিছু হটেননি। গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষদিন পর্যন্ত প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন। তিনি বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের কথা শুধু ১৯৭২ সালের সংবিধানেই বলেননি, তারও আগে ১৯৫৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদে আইন সভার সদস্য হিসেবে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের জোর দাবি উত্থাপন করেন। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ জাতির জনকের আদর্শকে ধারণ করে আইনের শাসন এবং সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে।
পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।
এরপর বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদে পবিত্র কুরআন খানি ও দোয়া করা হয় এবং দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আপিল বিভাগের ৪ জন এবং হাইকোর্ট বিভাগের ২৮ জন বিচারপতি বক্তব্য রাখেন।