‘কাঁচা পাট রফতানি নিরুৎসাহিত না করলে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাবে’

মো. জাহিদ মিয়াদেশে চাহিদা থাকার পরেও পাট রফতানি এ শিল্পে বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘কাঁচা পাট রফতানি যদি নিরুৎসাহিত না করতে পারি তাহলে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আমাদের এখানে শ্রমিকসহ ব্যাংকও বিপদে পড়ে যাবে।’ দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘সংকটে পাট’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে শুরু হয়েছে বাংলা ট্রিবিউনের সাপ্তাহিক এই আয়োজন।

পাট রফতানি নিরুৎসাহিত করে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা এবার ধারণা করছি আমাদের পাট উৎপাদন হবে ৫৫ লাখ বেল। সাধারণত আমাদের দেশে পাটের উৎপাদন হয় ৭৫ লাখ বেল। আমাদের শিল্পে চাহিদা আছে ৬০ লাখ বেল। এছাড়া আমাদের অভ্যন্তরীণ কাজে চাহিদা আছে পাঁচ লাখ বেলের মতো। ৬৫ লাখ বেল এই বছরের চাহিদা ধরলে আমাদের ১০ লাখ বেল ঘাটতি আছে। ইপিবির তথ্য মতে, আমাদের প্রতি বছর ৮-১০ লাখ বেল রফতানি হয়। এখন যে পরিমাণ আমাদের এখান থেকে রফতানি করা হবে সেই পরিমাণ আমাদের জন্য বাড়তি ঘাটতি হবে। এটা আমাদের সেক্টরে একটা বড় ধরনের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। তখন আমাদের এই শিল্পগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের শ্রমিকরা বেকার হয়ে যাবে। এই সেক্টরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চার কোটি লোকের কর্মসংস্থান আছে।’

তিনি বলেন, ‘পাট একমাত্র কাঁচামাল যা বিশ্বের মাত্র দুটি দেশে হয়, বাংলাদেশ ও ভারত। আমরা জানতে পেরেছি, ভারতেও এবার ১৫-২০ শতাংশ উৎপাদন কম হয়েছে। আমাদের আইনেও নেই যে বিদেশ থেকে আমরা কাঁচা পাট আমদানি করতে পারবো। যার ফলে আমরা একটা ঘাটতির মধ্যে পড়বো।’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নিচ্ছেন– বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, গাজী টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল। 

এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ।