দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘সংকটে পাট’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি একথা বলেন। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে শুরু হয় বাংলা ট্রিবিউনের সাপ্তাহিক এই আয়োজন।
এ সময় পাটকল বন্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর এই শিল্পে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো থেকে অর্থায়ন করতে গিয়ে আর্থিক খাত একটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। একটা বড় অর্থ চলে যেত বেতন-ভাতায় এবং আমাদের সাধারণ ট্যাক্সপেয়ারদের পকেট থেকে দেওয়া ব্যাংকের টাকা সেখানে দিতে হতো। শেষ পর্যন্ত যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। আমি মনে করি, এটা একটি ভালো সিদ্ধান্ত। সরকার আর পাটের ব্যবসা করবে না। কিন্তু প্রত্যাশার জায়গা যেটি ছিল, সরকারি মিলগুলো যখন বন্ধ করা হয়েছে তখন বেসরকারি মিলগুলো উজ্জ্বল ছিল, তারা কেন এখন সংকটে। এর একটি বড় কারণ, মধ্যস্বত্বভোগীরা পাট নিয়ে নতুন একটা কারসাজি শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে নজরদারির ব্যাপার গুরুত্বপূর্ণ। বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে সেই টাকা না দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে সস্তায় পাট কিনে মিলকে বেশি দামে দিয়ে পুরো বাজারটাকে অস্থির করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রফতানি খাতকে নষ্ট করার চেষ্টা কর হচ্ছে।’
মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নেন– বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ মিয়া এবং বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।
বৈঠকির এই আলোচনা সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলা।