বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানিও বাড়ছে। এটিও আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে কমে আসছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি। এই কমে যাওয়াও আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
জানা যায়, ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে পানি গতকাল রবিবার বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। আজ সোমবার তা আরও বেড়ে ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে গুড় নদীর সিংড়া পয়েন্টে পানি ৬০ থেকে বেড়ে আজ ৮১, আত্রাই নদীর আত্রাই পয়েন্টে পানি ৩ থেকে বেড়ে ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি পয়েন্টে পানি কিছুটা কমেছে। গতকাল ছিল বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপরে, আজ সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে নতুন করে বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে বেশ কয়েকটি নদীর পানি। এরমধ্যে যমুনেশ্বরী নদীর বদরগঞ্জ পয়েন্টে পানি আজ বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার, করতোয়া নদীর চক রহিমপুর পয়েন্টে পানি ৫৩, পুনর্ভবা নদীর দিনাজপুর পয়েন্টে পানি ১০, আত্রাই নদীর মহাদেবপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরেও অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় আছে।
এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে।