ঢাকা ওয়াসা এমডির চিঠিতে বলা হয়, ‘পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন ১৯৯৬-এর ২৮(২) ধারা মোতাবেক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানকে তার বর্তমান চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর হতে তিন বছরের জন্য ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ/পুনঃনিয়োগের জন্য সরকারের অনুমোদন নির্দেশক্রমে জ্ঞাপন করা হলো।’
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে ‘ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানকে তিন বছরের জন্য নিয়োগের প্রস্তাব স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ’ বিষয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত ওয়াসার সপ্তম বিশেষ সভায় তাকে পুনঃনিয়োগ দিতে প্রস্তাব করা হয়।
ঢাকা ওয়াসা’র আইন অনুযায়ী ওয়াসা বোর্ডের সুপারিশ বা প্রস্তাবের পর সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু একই ব্যক্তি একই পদে সর্বোচ্চ কতবার বা কত বছর নিয়োগ পেতে পারেন, সে ব্যাপারে আইনে কিছু বলা নেই। ফলে ২০০৯ সালে প্রথম দফায় নিয়োগ পাওয়ার পর আর পদ ছাড়তে হয়নি তাকসিম এ খানকে। এর আগে আরও পাঁচ দফা নিয়োগ পেয়েছেন তিনি, কিন্তু প্রতিবারই নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে। এ বছর ষষ্ঠবারের মতো প্রক্রিয়া চলছে। এক্ষেত্রে ওয়াসা বোর্ড নজিরবিহীন জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা এমডি একেএম ফজলুল্লাহ’র চিঠিতেও একই কথা বলা হয়েছে। তবে তার মেয়াদ আগামী ১ নভেম্বর উত্তীর্ণ হচ্ছে। এরপর থেকে তাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি গত ১০ বছর ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি পদে আছেন। তিন দফা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পর এবার চতুর্থ দফায় নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।