সরকার দায় এড়াতে পারে না: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ব‌লে‌ছেন, দেশে সম্প্রতি ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সরকার এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। সব অপরাধের ক্ষেত্রেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ‌তি‌নি ব‌লেন, অপরাধীদের প্রশ্রয় নয়, সব ইস্যু নিয়ে রাজনীতি নয়। অন্তত এ ধরনের ইস্যুতে রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তি‌নি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটার দায় তো আমরা এড়াতে পারি না। সরকার ক্ষমতায়, সরকার কী করে দায় এড়াবে? তবে সরকার এটাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না। প্রতিটি বিষয়ে সরকার দায়িত্ব নিচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ ধরনের ঘটনায় যারাই জড়িত, তারা যদি আমাদের দলীয় পরিচয়েও থাকে, অবশ্যই তাকে আইন ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এটি শুধু মুখে বলা হচ্ছে না, বাস্তবেও কার্যকর করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, সমাজবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। দেশের সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ চলাচল এবং নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিন্দনীয় অপকর্ম রুখতে ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ধর্ষণ নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় অপরাধ ও সামাজিক ব্যাধি। এসব চরম ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা বিকৃত রুচির অপরাধী। সরকার এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে। তবু এ ধরনের ঘটনা দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে। সম্প্রতি পাশের দেশেও এমন ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনায় ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নাম আসছে—এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফাত হত্যা মামলার রায় হয়ে গেলো, ফেনীর নুসরাত হত্যা মামলারও রায় হলো। এগুলোর বিচার তো হচ্ছেই। সব ব্যাপারেই শাস্তি হবে। ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা হয়েছে, সে ব্যাপারেও তো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলীয় পরিচয়ের নামও শোনা গেছে, কিন্তু কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে প্রায় প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের পরিচয়ে ছিল। কিন্তু তাদের কী শাস্তি থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে? নাকি তাদের চার্জশিট থেকে বাইরে রাখা হয়েছে?’