যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি বিগানের বাংলাদেশ সফর

ঢাকা চায় অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়ন, ওয়াশিংটন আইপিএস

স্টিফেন ই. বিগান

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায় বাংলাদেশ। সে দেশের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট স্টিফেন ই. বিগানের ঢাকা সফরে বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরবে সরকার। অন্যদিকে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। বিগান বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে দিল্লি সফর শেষে ঢাকায় আসবেন এবং রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

ডেপুটি সেক্রেটারির সফর উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুধবারের বৈঠক নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরালো করার জন্য আলোচনা করবো। এর মধ্যে কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ অন্যান্য খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে চাই আমরা।’

গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের একটি অর্থনৈতিক বৈঠক হয়েছে। সেটির পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়েও বুধবারের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কিথ ক্র্যাচ ৩০ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

বুধবারের বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ তুলে ধরবে এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আরও সহযোগিতা চাইবে বলে পররাষ্ট্র সচিব জানান।

ভূ-রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কূটনীতিক বৈঠকে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক।’

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা হবে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘যৌথ বা দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনার জন্য তৈরি আছি।’ তবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা নন-অ্যালাইনমেন্ট নীতিতে বিশ্বাস করি, সেই জন্য সামরিক সংক্রান্ত কোনও জোটে আমরা যোগ দেবো না।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সফরে ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান সবার সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ও যৌথ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একটি বিজ্ঞপ্তি।