‘তদবির করে আসিনি, প্রধানমন্ত্রী বসিয়েছেন’

অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমতদবির করে নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পদে বসিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। রবিবার ( ১৮ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোভিড-১৯ মহামারিতে সার্জনদের ভূমিকা শীর্ষক’ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ কথা বলেন।
মহাপরিচালকের বক্তব্যের আগে অনুষ্ঠানে অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আসাদুল ইসলামকে নিয়ে সমালোচনা হয় সেমিনারে। স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য ডা. এম এ আজিজ এমপি তার বক্তব্যে বলেন, করোনার শুরুর দিকে কমিটির বৈঠকে করোনা প্রতিরোধে অনেক প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন, কিন্তু তখনকার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং সচিব সেসব আমলে নেননি। যদিও তারা এখানে এখন আর নেই, তারা থাকলে ভালো হতো।
কোভিড মহামারির মধ্যেই গত চার জুন মন্ত্রণালয়ের সচিব আসাদুল ইসলামকে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব পদে বদলি করা হয় আর অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ গত ২১ জুলাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। পরে গত ২৩ জুলাই অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পরে তার বক্তব্যে বলেন, প্রশাসন চিকিৎসকদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে, সেই বিষয়ে আমাদেরকেই সজাগ থাকতে হবে, আমাদেরকেই সেটা প্রতিহত করতে হবে। আর একটি কথা বলতে চাই, আমি এই পদে ( মহাপরিচালক) কোনও রকমের তদবির করে আসি নাই। এই পদে প্রধানমন্ত্রী নিজে নির্বাচন করে আমাকে বসিয়েছেন, আমি এখানে থাকতে আসি নাই। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আমি সেটাই করছি। আর সে কাজ করেই আমি আমার নির্দিষ্ট সময়ে চলে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য এসেছি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যতক্ষণ বলবেন ততক্ষণ থাকবো, যখন চলে যেতে বলবেন, তখন চলে যাবো।
তিনি আরও বলেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছি। আমাদের প্রস্তুতিও আছে। আশা করছি, ওই সময়ে (আসন্ন শীত) যদি সত্যিই সেকেন্ড ওয়েভ আসে তাহলে সুষ্ঠুভাবে মোকাবিলা করতে পারবো।’
অধ্যাপক আবুল বাসার বলেন, ‘অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডি পরীক্ষা নিয়েও কথা হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে, সে বিষয়ে কাজ করছে। আশা করছি অতি দ্রুত সেটা শুরু হবে।’