গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র সমন্বয় সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য
গণপরিষদের সংবিধান বিলের ওপর বক্তৃতাকালে যোগাযোগমন্ত্রী মনসুর আলী বলেন, এই সংবিধান গৃহীত হলে শুধু অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে না, বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতিকে গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠিত করবে। তিনি বলেন, শাসনতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রকে পাশাপাশি রেখে গণতন্ত্রের বিধান শাসনতন্ত্র রাখা হয়েছে। একমাত্র বাংলাদেশেই গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র পাশাপাশি অবস্থান এবং উভয়ের বিকাশ সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অধিবেশনে সংবিধান বিলের ওপর দ্বিতীয় দিনে সাধারণ আলোচনায় যোগাযোগমন্ত্রী মনসুর আলীসহ আরও অনেকে বক্তৃতা করেন। অতঃপর অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়। এদিকে ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। সেখানে খসড়া সংবিধান বিলের সংশোধনী প্রস্তাবের বাছাই শেষে আলোচনা হওয়ার কথা।
ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে খোলা বাজারে
বহু ঢাকঢোল পিটিয়ে পহেলা অক্টোবর থেকে দেশের সর্বত্র ৪ হাজার ৭২০টি ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করা হলেও বেশিরভাগ দোকানে কোনও পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে কেবল ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের দোকানগুলোতে শিশুখাদ্য, শাড়ি, সিগারেট, কাপড়চোপড়, ধোয়ার সোডা পাওয়া গেলেও বাকি কোথাও ঠিকমতো পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। অথচ শিশুখাদ্য বেবিলাক ও ডানো খোলাবাজারের দোকানে সাজানো আছে। এসব দোকানে কিছু দিন আগে পর্যন্ত এসব পণ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। এখন যারা কম আয়ের মানুষ তারা ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে পণ্য নিয়ে খোলাবাজারে চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
কার্ডের কারচুপি
বাংলাদেশ তথ্য বিভাগের কর্মচারী ১০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন একটি কার্ড। সেটি অবশ্য অন্যের নামে। তাতে মালামাল পাবার ব্যাপারে তাদের তেমন অসুবিধা হচ্ছে না। এই কার্ডটি কমলাপুর ইউনিয়নের বলে জানা যায়। এইভাবে কার্ড টাকার বিনিময়ে বিক্রয় হয়ে থাকে বলে অভিযোগ আসে। ন্যায্যমূল্যের দোকান নিয়ে সরকারি ডামাডোলের নমুনা দেখে অনেকে মনে করেছিলেন, এবার উচ্চ দ্রব্যমূল্য বাজারে কিছুটা জীবন বাঁচানো যাবে, কিন্তু সকলে হতাশ হতে শুরু করেন।
সুষ্ঠু নীতির অভাবে ব্যাংক খাত
সরকার ব্যাংকগুলোকে জাতীয়করণ করেছে প্রায় সাত মাস আগে। ব্যাংকগুলোকে একত্রিত করে অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকে রূপান্তরিত করা হয়। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরপরই আরেকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। তখন পর্যন্ত জাতীয়করণকৃত ব্যাংকগুলোর জন্য একটা স্কেল নির্ধারণ না করায় বিভিন্ন ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের বেতন বৈষম্যের অবসান ঘটানোর প্রয়োজন থাকলেও সেটা করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার ফলে কর্মচারীদের মধ্যে পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি ও দলাদলি সৃষ্টি হয়ে যায়। শুধুমাত্র সুস্পষ্ট কোনও সরকারি নির্দেশনামা না থাকার কারণে বিভিন্ন ব্যাংক আঞ্চলিকতার মর্মান্তিক শিকারে পরিণত হয়ে যাচ্ছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।