জাতিসংঘকে সমুদ্রসীমার সংশোধিত তথ্য দিলো বাংলাদেশ

 

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমাবঙ্গোপসাগরে বর্ধিত মহীসোপানে বাংলাদেশের সীমা সংক্রান্ত সংশোধিত তথ্যাদি বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) জাতিসংঘকে দেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাতিসংঘের সমুদ্র আইন ও সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক দিমিত্রি গংচারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মহীসোপান সীমা সংক্রান্ত সংশোধিত তথ্যাদি হস্তান্তর করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মহীসোপান সীমা বিষয়ক কমিশনে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান সীমা সংক্রান্ত মূল তথ্যাদি দাখিল করেছিল বাংলাদেশ। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ বিষয়ক মামলায় ২০১২ এবং ২০১৪ সালে দেওয়া রায়ে বাংলাদেশ জয়ী হয়। ফলে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হয়। আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জিত এই সাফল্য বাস্তবায়নার্থেই বঙ্গোপসাগরে মহীসোপন সীমা সংক্রান্ত তথ্যাদি সংশোধন করা হলো।

নিয়ম অনুযায়ী জাতিসংঘের মহীসোপান সীমা বিষয়ক কমিশন বাংলাদেশের দাখিলকৃত তথ্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তীতে সন্তুষ্টি সাপেক্ষে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মহীসোপান সীমা নির্ধারণে চূড়ান্ত সুপারিশমালা প্রদান করবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দল মহীসোপান সীমা সংশোধনী বিষয়ক এই দলিলাদি প্রস্তুত করে।