বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ নরওয়ের রাষ্ট্রদূত

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেনবাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ হয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন। তিনি বলেছেন, ‘১০ বছর পূর্বে বাংলাদেশে এসেছিলাম, কিন্তু সেই বাংলাদেশ আর এই বাংলাদেশ এক নয়। দেশটি অনেক অগ্রগতি সাধন করেছে। দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে আছে।’

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত। ভার্চুয়াল বৈঠকে উভয়েই বাণিজ্য-বিনিয়োগ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস, আর্থিক খাতে গৃহীত পদক্ষেপ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শিক্ষা-সংস্কৃতি, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে নরওয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বহু সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে হবে।’

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এখানে। অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রণোদনার সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে অধিক হারে মুনাফার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। এটি একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। এখানে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। নরওয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, জাহাজ তৈরি ও মেরামত কারখানা, পানিসম্পদ ও নদী ড্রেজিং, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন এবং যোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে।’

বৈঠকে জানানো হয়, স্বাধীনতার পর থেকে নরওয়ে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। নরওয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। নরওয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিবেশ, সুশাসন, জেন্ডার ও মানবাধিকার, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত নরওয়ে সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে ৮ দশমিক ১৮৮ মিলিয়ন, পণ্যে ১৮২ দশমিক ৯১৪ মিলিয়ন এবং প্রকল্পে ৫৮২ দশমিক ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দিয়েছে।