বিজিবিতে যুক্ত ২টি হেলিকপ্টার, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে সীমান্তে

 

বিজিবিতে যুক্ত হেলিকপ্টারনজরদারি বাড়ানো ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পেলো দুটি হেলিকপ্টার। সীমান্তপথে সব ধরনের মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে ও জরুরি প্রয়োজনে হেলিকপ্টার দুটি টহলে থাকবে। রবিবার (৮ নভেম্বর) পিলখানায় বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বিজিবি এয়ার উইংয়ের জন্য কেনা এ দুটির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুই জন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং ল্যান্সনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের নামে হেলিকপ্টার দুটির নামকরণ করা হয়। আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ও রায়ট কন্ট্রোল ভেহিকলের (আরসিভি) তিনটি ভেহিকলও বিজিবিতে যুক্ত করা হয়।

বিজিবিতে যুক্ত হেলিকপ্টারঅনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘একুশ শতকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বিজিবিকে বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ এর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের মে মাসে বিজিবি এয়ার উইংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিজিবি রুশ প্রজাতন্ত্র হতে ২টি অত্যাধুনিক এমআই-১৭১-ই হেলিকপ্টার ক্রয় করে। এর মাধ্যমে বিজিবি দেশ মাতৃকার সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্ব পালনে জলে, স্থলে ও আকাশপথে বিচরণ করবে। বিশেষ করে দুর্গম পার্বত্য এলাকার সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম, রসদ সরবরাহ ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় এই হেলিকপ্টার দুটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।’

স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে দেশের সব সীমান্তে সব ধরনের মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে ভিশন-২০৪১ এর বিজিবির ১৬৮টি নতুন বিওপি সব সীমান্তে বর্ডার সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম এবং সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সীমান্তে নদীপথ রয়েছে, বিশেষ করে টেকনাফ ও সুন্দরবন অঞ্চলে বিজিবির জন্য চারটি অত্যাধুনিক হাইস্পিড ইঞ্জিনবোট কেনা হয়েছে। উপকূল, চরাঞ্চল, দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলের বিওপিসমূহের জন্য ১৫২টি (অল ​​টেরেইন ভেহিকল) কেনা হয়েছে। আরও সরঞ্জামাদি কেনা হবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালহেলিকপ্টার দুটির সক্ষমতা

এমআই দিক দিয়ে এমআই-১৭১-ই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ছয় হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে। মোট ২৬ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। পরিবহন ক্ষমতা তিন হাজার কেজি। রোগী পরিবহন ক্ষমতা ১২ জন। অটোপাইলট সিস্টেমে পরিচালিত। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই হেলিকপ্টার।

আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ও রায়ট কন্ট্রোল ভেহিকলের (আরসিভি) সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যাত্রী পরিবহন করতে পারে ১২ জন, জ্বালানি ট্যাংক ২৫৭ লিটার, রয়েছে ব্যালেস্টিক প্রোটেকশন, ব্লাস্ট প্রোটেকশন। ৬০ শতাংশ, ফোর হুইল ড্রাইভ। রয়েছে নাইট ভিশন হাইস্পিড ক্যামেরা।

বিজিবি সদর দফতরে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ও বিজিবির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।