যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার: পররাষ্ট্র সচিব

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনযুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে জটিলতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে জানুয়ারি মাসে দেশটির সরকার গঠনের পর নতুন উদ্যোগ নিয়ে আরও বড় আকারে গঠনমূলক যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার। এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে নিজ কার্যালয়ে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ’পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জানুয়ারিতে নতুন সরকার আসার পরে পুরনো ক্ষেত্রগুলোর পাশাপাশি নতুন কিছু জায়গায় আমরা কাজ করতে চাই।’

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের গতিপথ সামনের দিনগুলোতে আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সামাজিক, পরিবেশসহ অন্যান্য বিষয়ে সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে একই ধরনের মনোভাব দেখতে চাই।’

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’ডেমোক্র্যাট নেতৃত্ব আমাদের কাছে অচেনা নয়। প্রতিটি দেশ একেকভাবে যোগাযোগ করে। আমরাও আমাদের ওয়াশিংটন মিশনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামান্থা পাওয়ারের সঙ্গে একত্রে জাতিসংঘে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘পুরনো মুখগুলো এলে কাজ করতে আরও সুবিধা হবে।’

প্রসঙ্গত, বর্তমান সচিব যখন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন, ওই একই সময়ে সামান্থা পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি অনেক উন্নতি হয়েছে এবং আশা করি যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি বিবেচনায় নেবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। নতুন কোন ক্ষেত্রে দুই দেশ কাজ করতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তিতে আবার ফেরত আসবে।’

অভিবাসন আরেকটি ক্ষেত্র, যেখানে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে বাংলাদেশ সমর্থন করে এবং এই ব্যবস্থার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা ফেরত এলে সেখানেও অনেক কাজ করার সুযোগ আছে।’

ডেমোক্র্যাট সরকার গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, আইনের শাসনসহ অন্যান্য মূল্যবোধের ওপর জোর দেয় জানিয়ে তিনি বলেন, ’এর ফলে সবাই উপকৃত হবে। মূল্যবোধের ওপর জোর দেওয়ার কারণে মিয়ানমারের ওপর তাদের নজরদারি বাড়বে।

রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আমরা এই সমস্যার টেকসই সমাধান চাই। এই জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রাজনৈতিক সমর্থন আমাদের প্রয়োজন।’