করোনা পরিস্থিতি যেকোনও দিকে মোড় নিতে পারে

গণপরিবহনে নেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (১৮ নভেম্বর) করোনাতে নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ১১১ জন। আগের দিন ১৭ নভেম্বর দুই হাজার ২১২ জন ও ১৬ নভেম্বর শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ১৩৯ জন। টানা তিন দিন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন দুই হাজারের ওপরে। ৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত চার লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৫।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন সপ্তাহ ধরে রোগী শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। এরমধ্যে শীত আসি আসি করছে। তখন পরিস্থিতি যেকোনও দিকে মোড় নিতে পারে। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। তাই এখনি রোগী শনাক্ত করে আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিন ও স্বাস্থ্যবিধিতে জোর দিতে হবে সরকারকে।

মৃত্যুর সংখ্যাকে এখনও আশঙ্কাজনক নয় মনে করছেন অনেকে। তবে পরিস্থিতি ঘুরে গেলে মহামারি লেগে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আপাতত সংক্রমণের হার পাঁচের নিচে নামিয়ে আনা না গেলেই বিপদের শঙ্কা থাকে। আমরা এখনও বিপদসীমার ভেতরে রয়েছি উল্লেখ করে ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, গতকাল ৩৯ জন মারা গেছে। একদিনের মৃত্যুর সংখ্যাকে অ্যালার্মিং বলা যাবে না। তবে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি, শনাক্তের হারটাও বেশি।

এখন যা ১২ থেকে ১৪ শতাংশের মধ্যে। সেই অর্থে সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণহীন। মন্তব্য করেন মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন।

ডা. মুশতাক হোসেন আরও বলেন, শুধু বিমানবন্দরেই আমরা আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিন করতে তৎপর। কিন্তু দেশের ভেতর হাজার হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে প্রতিদিন। তাদের সংস্পর্শে যারা আসছে তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। অথচ মহামারি ঠেকাতে সবার আগে দরকার কোয়ারেন্টিন।

প্রথম ঢেউ এখনও শেষ হয়নি জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, গত তিন দিনের সংক্রমণ কিন্তু হঠাৎ করে বাড়েনি। এ দিয়ে কিছু বোঝা যাবে না। আগামী সাত দিনের সংক্রমণের হারের সঙ্গে যদি তার আগের সাতদিনের মিল পাওয়া যায় তবে বলা যাবে সংক্রমণের হার বেড়েছে।

‘আমরা চার মাস আগে অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পরামর্শ দিলেও সেটা চালু করা গেলো না ‘ ডা. বে-নজির আরও বলেন, ‘পুরো করোনার সময়েই স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃত্বহীনতা দেখেছি। কখনোই এ বিভাগকে মহামারি প্রতিরোধের মতো নেতৃত্ব নিতে দেখিনি।’