বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী নরওয়ে

৩০

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্সসহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এ মুহূর্তে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ খুবই আকর্ষণীয় স্থান। নরওয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভবান হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) বাণিজ্যমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ইসপেন রিকটার এসভেনডসেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব কথা বলেন।

এ সময় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নরওয়ের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নরওয়ে বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। সে দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি হচ্ছে। এছাড়া ওষুধ, সিরামিক পণ্য, ফার্নিচার, আইসিটি, হিমায়িত মৎস্য, চামড়াজাত পণ্য এবং হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানির সুযোগ রয়েছে। এসব পণ্যের রফতানি আরও বাড়ানো সম্ভব।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ পণ্যের একটি বড় বাজার। চীন ও ভারতও পণ্যের বড় বাজার। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য এসব দেশে রফতানি করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এখানে তুলনামূলক কম মূল্যে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।’

এ সময় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নতিতে নরওয়ে খুশি। বাংলাদেশের সঙ্গে নরওয়ের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। নরওয়ে টেলিফোন খাতে এখানে বড় বিনিয়োগ করেছে। নরওয়ের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা নরওয়েতে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা খুবই আকর্ষণীয়। আগামীতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বসে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। উভয় দেশের সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নরওয়েতে ৬৮ দশমিক ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ৫১ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।