বুধবার (২৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য আয়োজিত মাসিক সভায় (ভার্চুয়াল) অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জনসাধারণকে বন্য হাতি নিধন হতে বিরত করতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বন্য হাতির কারণে ক্ষতির সম্মুখীন মানুষদের সরকারের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি সকলকে জানাতে হবে। হাতিসহ অন্য সকল প্রকার বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সভায় উপস্থিত প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল তৈরি এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে হাতির আবাসস্থল বিনষ্ট ও বিভক্ত হয়েছে। তাদের দীর্ঘকালীন পরিচিত চলাচলের পথও নষ্ট হয়েছে। ফলে বন্য হাতী পথভ্রষ্ট হয়ে অথবা খাদ্যের সন্ধানে মানুষের ধানক্ষেতে প্রবেশের চেষ্টা করে। ফলে স্থানীয় মানুষের পাতানো বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বা বিভিন্ন আক্রমণে নিহত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ময়না তদন্ত করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বন্য হাতী হত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির কর্মসূচি জোরদার করা হবে মর্মে তিনি সভাকে অবহিত করেন।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরীসহ দফতর প্রধানরা ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা আলোচনায় অংশ নেন।