এদিকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্র জানিয়েছে, গতকাল (১৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ইপিবি’র বোর্ড মিটিংয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে (১৭ মার্চ) মেলা উদ্বোধনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকিটা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতির ওপর। তার সম্মতি পেলে ওইদিন তিনি মেলা উদ্বোধন করবেন। অন্যান্য বছর এই মেলা ৩০ দিন বা এক মাসব্যাপী হলেও এ বছর মেলা এক মাসের বেশি চলতে পারে বলে জানিয়েছে ইপিবি সূত্র।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এ বছর বাণিজ্য মেলা তার স্থায়ী ঠিকানায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নানা ধরনের জটিলতার অজুহাতে এবারও শেরেবাংলা নগরের মেলার মাঠে এই বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পক্ষে ছিলেন ইপিবি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পূর্বাচলে মেলার স্থায়ী কেন্দ্রে এবারের বাণিজ্য মেলা আয়োজনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা ছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ২৫তম বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনের দিন তিনি বলেছিলেন, আগামী বছর এই মেলা অবশ্যই পূর্বাচলের স্থায়ী মেলা কেন্দ্রেই আয়োজন করতে হবে।
এ বিষয়ে ইপিবি জানিয়েছে, পূর্বাচল উপ-শহর এলাকায় ২০ একর জমির ওপর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নামে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষে হয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখে চীনের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইপিবির কাছে এটি হস্তান্তর করবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্যে টিকে থাকতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নতুন পণ্য উৎপাদন এবং তা যথাযথভাবে প্রদর্শনে এ মেলার গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করে ইপিবি।
গত বছর বাণিজ্য মেলায় সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২০২১ সালের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হবে পূর্বাচলের নিজস্ব কমপ্লেক্সে। সেটা নতুন জায়গা। আগারগাঁও থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা স্থায়ীভাবে পূর্বাচলে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানে বাণিজ্য মেলার নিজস্ব কমপ্লেক্স করা হচ্ছে। প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলেও সেখানে যাতে লোকজন যেতে পারে, সে বিষয়ে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।