বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন। বাণিজ্য, কৃষি, জ্বালানি ও পরিবেশসহ অন্যান্য বিষয়ে এসব সমঝোতা হয়।
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দোরাইস্বামী বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা একটি প্রাণও নষ্ট হওয়ায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। এ সমস্যা সমাধানে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করতে হবে। যাতে করে অবৈধভাবে কেউ সীমান্ত পার না হয়। বর্ডার প্রসেসকে আক্রমণ না করে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থেকে নিচ পর্যন্ত সবাই এই বিষয়ে আন্তরিক।’
যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়া। প্রথমে টেকনিক্যাল কমিটি, এর পর সচিব পর্যায়ের কমিটি, এর পরে জিআরসি’র বৈঠক হবে। কয়েক সপ্তাহের ভেতরে এ সংক্রান্ত বৈঠকের তারিখ নির্ধারণের আশা করি।’
লাইন অব ক্রেডিট প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা এর বাস্তবায়ন চাই। আগামী জানুয়ারি মাসে আমি আর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব এর পদ্ধতিগত সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে বৈঠক করবো। সর্বোচ্চ নেতৃত্ব চায় প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন। বাংলাদেশকে এ প্রকল্পে আট বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেবে ভারত।’
উল্লেখ্য, বেলা সাড়ে ১১টায় দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হবে। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক হবে এটি। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে এতে যোগ দেবেন। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শান্তিপূর্ণ সীমান্ত, বাণিজ্য সহযোগিতা, কানেকটিভিটি, কোভিড সহযোগিতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন-