বেলা ১১টায় দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠক শুরু হয়। শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে এতে অংশ নিচ্ছেন। আজকের বৈঠকে একইসঙ্গে দুই দেশের সরকারপ্রধান চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেললাইন সংযোগ চালু করেছেন। ৫৫ বছর পরে আবার দুই প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে এই রেললাইনটি চালু হলো। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর থেকে এই রেললাইন বন্ধ ছিল।
এর আগে সকালে ভার্চুয়াল বৈঠকের আগেই দুই দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এগুলো সই হয়। বাণিজ্য, কৃষি, জ্বালানি ও পরিবেশসহ অন্যান্য বিষয়ে এই সমঝোতা হয়।
দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিইও ফোরাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাইড্রোকার্বন বিষয়ে সহযোগিতা, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাতি সংরক্ষণ বিষয়ে সহযোগিতা, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর ও ভারতের জাতীয় জাদুঘরের মধ্যে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ও বরিশালের স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি।
বাংলাদেশের পক্ষে স্ব স্ব বিভাগের প্রধান কর্মকর্তারা এবং ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী চুক্তিগুলোতে সই করেন।
আরও পড়ুন-
ভার্চুয়াল বৈঠকে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে দৃশ্যমান উন্নতির আশ্বাস দোরাইস্বামীর