‘বড় নগরগুলোতে ভ্যাকসিন দেওয়া চ্যালেঞ্জিং’

স্বাস্থ্য অধিদফতর সারাদেশে ভ্যাকসিন দেওয়ার যে পরিকল্পনা করেছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটি। তারা মনে করে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বড় নগরগুলোতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালানো কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হবে। তাই এসব এলাকাতে ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করতে সিটি করপোরেশনসহ সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় এসব কথা বলা হয়। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহীদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কমিটির ২৫তম অনলাইন সভা ছিল এটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণমাধ্যমে প্রচারণা ব্যবস্থা করা দরকার। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সঠিকভাবে চলছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং যারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর ওই ব্যক্তিকে অন্তত ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভ্যাকসিন কার্যকর হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা দরকার বলেও মনেকরে জাতীয় কমিটি।

কমিটি বলছে, যথাযথ স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার পর অ্যান্টিবডি দেখা দরকার। আর এজন্য ফার্মাকোভিজিল্যান্সের জন্য প্রস্তাব অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ ও অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

কোভিড-১৯ টিকা পরবর্তী বছরগুলোতেও প্রয়োজনের আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে কমিটির সুপারিশে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ধরনের নতুন মহামারী সৃষ্টি হতে পারে বলে বৈজ্ঞানিকরা আশঙ্কা করছেন। অন্যান্য প্রচলিত রোগের জন্য শিশু ও বয়ষ্কদের টিকাদান কর্মসূচি চালু আছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশেই ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। দেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।