করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভ্যাকসিন আসার আগেই লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের কলের গান অবিরাম বাজিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বিএনপি নামক গুজব পার্টির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও প্রদান কাজ স্বচ্ছতা এবং সফলতার সঙ্গে শেষ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা টিকা নিয়ে বিএনপি আবারও অপপ্রচার শুরু করেছে। জনকল্যাণে নিবেদিত সরকারের যেকোনও প্রশংসনীয় উদ্যোগকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা তাদের অপরাজনীতির অংশ। বিএনপি বিপদে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনার তীর ছুড়ছে। প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগ যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যা আওয়ামী লীগের গত সাত দশকের ঐতিহ্য।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রো-অ্যাকটিভ নয়, তাদের রাজনীতি হচ্ছে রি-অ্যাকটিভ। আসলে প্রতিক্রিয়াশীলতা এখন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ কিন্তু ধর্মের দোহাই ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি নেতারা চারদিকে শুধু ধ্বংস দেখতে পায়, তারা সরকারের কোনও উন্নয়ন ও অর্জন দেখতে পায় না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আসলে তাদের সৃষ্টিশীলতাকে গ্রাস করেছে দুর্ভেদ্য নেতিবাচকতা। কারণ, বিএনপির দৃষ্টিশক্তিতে এখন শীতের ঘনকুয়াশা জমেছে। বিএনপির রাজনীতি এখন কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, তারা নিজেরাই শীতে কাতর।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে জুলুম আর লুটপাটতন্ত্র।’
পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচন সামনে।’ তাই আবারও স্মরণ করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহ করবে এবং যে জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহে উসকানি দেবে, তাদের ভবিষ্যতে মনোনয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কোনও পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতাদের ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় দ্রুত কমিটি করার নির্দেশ দেন। কমিটি করতে গিয়ে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘পকেট কমিটি কোনোভাবেই করা যাবে না, দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে সুযোগ করে দিতে হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।