মশা নিধনের নির্দেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর

সবার সমন্বিত উদ্যোগে মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) অনলাইনে আয়োজিত ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য অষ্টম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর ওষুধ, জনবল ও যন্ত্রপাতিসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সবার সমন্বিত, কঠোর উদ্যোগের ফলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এখন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব না থাকলেও অন্য প্রজাতির মশা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।’ তাই রাজধানীবাসীসহ দেশের মানুষকে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

একই কীটনাশক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে মশা সেটাতে সহনশীল হয়ে যায় উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ ক্রয়ের পাশাপাশি তদারকি বৃদ্ধির তাগিদ দেন।

মন্ত্রী জানান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মশা আছে। ওই সব দেশ যেভাবে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করে প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এনেছে, আমরা সেভাবে কাজ করছি এবং অনেকটাই সফল হয়েছি।’ দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা নিয়ে করা সব ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা এবং খালের দায়িত্ব ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনকে দেওয়ার পর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু এবং মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে দুই মেয়রের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘নগরীর খালসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে নগরবাসী যেমন এর সুফল পাবে, অন্যদিকে এডিস মশাসহ অন্যান্য প্রজাতির মশার প্রজননস্থল বিনষ্ট হওয়ায় মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জনগুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজের স্বার্থে উপরের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে স্ব স্ব দায়িত্বে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে একত্রে কাজ করলে কোনও কাজই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না। আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।’

স্থানীয় বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় অনলাইন সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সব সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা অংশ নেন।