সম্পর্ক উন্নত করতে চাইলে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিন: যুক্তরাষ্ট্রকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে এক ওয়েবিনারে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এক দশক ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমি আশা করি নতুন মার্কিন প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। কারণ, আমরা উভয় দেশই বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করি। প্রকৃতপক্ষে রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে।’

তিনি বলেন, এ বিষয়টি সমাধানে প্রত্যর্পণ চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ এবং এটি যুক্তরাষ্ট্র ঝুলিয়ে রেখেছে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর মোট পাঁচ জন খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে। এরমধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নুর চৌধুরী কানাডায় ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায় রাশেদ চৌধুরী। পরবর্তীতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে ২০০৪ সালে অভিবাসন বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। ২০০৬ সালে ওই আপিল খারিজ হয়ে যায়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২০১৬ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই আলোচনায় কোনও অগ্রগতি হয়নি। ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পরে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়টি একাধিকবার বিবেচনা করার অনুরোধ করা হলে ২০২০-এর জুনে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল তা পুনর্বিবেচনার জন্য নোটিশ প্রদান করেন।