স্পট রেজিস্ট্রেশনের কথা ভাবা হচ্ছে

যাদের বয়স বেশি বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ, তারা জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে গেলে তাদের নিবন্ধন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে সরকার। স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান এই তথ্য জানিয়েছেন।

আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যসচিব বলেন, গ্রামের মানুষের আগ্রহ বাড়াতে প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন,  কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, টিকাদান কার্যক্রম ঠিকভাবে চালাতেই আপাতত ওই সুবিধা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেদিন বলেন, ‘নিবন্ধন না করে অনেকে টিকা নিতে আসছেন। এতে বিভিন্ন কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হচ্ছে। এখন থেকে যারা নিবন্ধন করে আসবেন, শুধু তাদেরই টিকা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যদি টিকাদান কেন্দ্রে নিবন্ধনের প্রয়োজন পড়ে তখন আবারও জানানো হবে।’

স্বাস্থ্য সচিব আজ জানান, দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য ১৪ লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছেন। তিনি বলেন, ‘৩৫ লাখ টিকা দেওয়ার পর আমরা পরিসংখ্যান যাচাই করবো। যদি দেখা যায় গ্রামের মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা কম তাহলে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘যাদের বয়স বেশি বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ আছে আছেন, তারা ভোটার আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে গেলে তাদের নিবন্ধন করা হবে। এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আমরা চিন্তা করছি।’

গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, শনিবার এই সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে যাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভব হয়েছে টিকাদান কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভালো অভিজ্ঞতার কারণে।’

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে জাতীয়ভাবে শুরু হয় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম। সেখানে টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়। কিন্তু অনেকেই অনলাইনে নিবন্ধন না করে স্পট রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করে টিকা নেন। কিন্তু তাতে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে তৈরি হয় ভিড়। অনেক সময় তৈরি হয় টিকা গ্রহীতাদের সঙ্গে টিকাদান কর্মীদের বাদানুবাদ।