নতুন র‌্যাডার নিরাপত্তাও দেবে আয়ও করবে

বরিশালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ‘র‌্যাডার ইউনিট’ এবং ‘হেলিকপ্টার সিমুলেটর ট্রেনিং ইন্সটিটিউট’ এর উদ্বোধন করেছেন রাষ্ট্রপতি। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন করেন। তার অনুমতি সাপেক্ষে বরিশালে ফলক উন্মোচন করেন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।

এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া র‌্যাডার বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রাঞ্চল তথা দেশের আকাশসীমার মধ্যে শনাক্ত করা বিমানগুলোকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারবে। এছাড়াও বিমানগুলোর চলাচল ও নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। আর নবনির্মিত হেলিকপ্টার সিমুলেটর ট্রেনিং ইন্সটিটিউট বিমান বাহিনীর বৈমানিকদের উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে প্রশিক্ষণ ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে কমবে এবং উড্ডয়ন নিরাপত্তাকে আরও দৃঢ় করবে।

এ সময় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত রাষ্ট্রপতিকে কৃতজ্ঞতা জানান।

অনুষ্ঠানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, বরিশাল সিটি করপোরেশন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশায় ৪০ একর জমির ওপর এ র‌্যাডার স্টেশনটি নির্মিত হয়েছে। এটি চালুর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশসীমার ওপর দিয়ে বিভিন্ন দেশের বিমান চলাচল চিহ্নিত করা যেমন সম্ভব হবে তেমনই এসব বিমান সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় সম্ভব হবে।
বিমান বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এর মাধ্যমে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার ডলার আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আর বছরে আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে কমপক্ষে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির এই সম্ভাবনার পাশাপাশি শত্রুপক্ষের কাছ থেকে বরিশাল বিমানবন্দর এবং নবনির্মিত পায়রাবন্দরসহ আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ অন্য স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় বিমান বাহিনীর এ র‌্যাডার স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া, বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়ের পর এই সমুদ্র এলাকা নিজেদের আওতায় নিয়ে আসতে এবং প্রকৃত সুফল পেতে বিমান বাহিনী র‌্যাডার স্টেশনটি কাজ করবে।