বঙ্গবন্ধু-উমব্রিখট বৈঠক: আনরডের বিশেষ প্রতিনিধির রিপোর্ট পেশ

(বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর সরকারি কর্মকাণ্ড ও তার শাসনামল নিয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বাংলা ট্রিবিউন। আজ পড়ুন ১৯৭৩ সালের ২৭ফেব্রুয়ারির ঘটনা।)

১৯৭৩ সালের এই দিন সন্ধ্যায় গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন আনরড মিশনের প্রধান ভিক্টর উমব্রিখট। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন। বিপিআই-এর খবরে প্রকাশ, দেশের মধ্যে খাদ্য পরিবহন ও বিতরণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।

 আনরডের বিশেষ প্রতিনিধির রিপোর্ট

বিপিআই পরিবেশিত অপর এক খবরে বলা হয়েছে, এই দিন সন্ধ্যায় আনরডের বিশেষ উপদেষ্টা সুকুমার কান্তি দে গণভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি পল্লী উন্নয়ন সম্পর্কে এক ’শ পাতার একটি প্রতিবেদন বঙ্গবন্ধুর কাছে পেশ করেন। সুকুমার কান্তি একজন বিশ্বখ্যাত পল্লী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। ১০ বছর ভারত সরকারের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর অনুরোধেই রিপোর্টটি তৈরি করেন সুকুমার কান্তি দে। রিপোর্ট তৈরিতে সময় লাগে চার মাস।

দি বাংলাদেশ অবজারভার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩সুকুমার কান্তি একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি তার রিপোর্টে গবাদিপশু, সমবায়, তথ্য ও বেতার, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, ক্ষুদ্রকৃষি, শিল্প প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত করেন। বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মচারী তাকে ওই রিপোর্ট তৈরির ব্যাপারে সহযোগিতা করেন।

ধামরাইয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যাবেন বঙ্গবন্ধু

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আগামীকাল ধামরাইয়ে দুটি জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে হেলিকপ্টারে ঘোড়াশালের কাছে পলাশে যাবেন এবং সকাল সাড়ে দশটায় এক জনসভায় বক্তৃতা করবেন। সেখান থেকে তিনি ধামরাই যাবেন এবং দুপুর বারোটায় অপর একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন। বিকালে রাজধানীতে ফিরে আসবেন বঙ্গবন্ধু।

১৯৭৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম

আটক বাঙালিদের কথাও চিন্তা করুন: ইন্দিরা

বাংলাদেশের সম্মতি ছাড়া ভারত কর্তৃক পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দিদের মুক্তিদানের বিষয়টি অস্বীকার করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা গান্ধী লোকসভায় বলেন, এই ধরনের যেকোনও পদক্ষেপ হবে যুক্তিহীন। বাস্তবধর্মী মোকাবিলা করতে হবে। ইন্দিরা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং সেভাবেই একে বিবেচনা করতে হবে।

বর্বরতা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হাস্যকর

বাংলাদেশিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা হালকা করতে পাকিস্তান সরকারের অপচেষ্টায় বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ। এই চেষ্টাকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করা হয়। ১৯৭১-এর মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশে যে নিপীড়ন চালিয়েছে, সে বিষয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তার বিপরীতে সরকারের এক মুখপাত্র এ মন্তব্য করেন।