বাংলাদেশের পাশে আছে জাতিসংঘ: গুতেরেজ

সামাজিক উন্নয়ন, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধন করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। তিনি বলেন, আমরা জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে আছি। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে একথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

রবিবার (২৮ মার্চ) স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অমূল্য অবদানের কথা তুলে ধরেন গুতেরেজ। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় প্রদান এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

বহুপাক্ষিকতাবাদ, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, শান্তির সংস্কৃতি এজেন্ডা, এবং মানবিকতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য অবদানের কথা প্রদত্ত বক্তব্যে তুলে ধরেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজকির। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনিও বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন।

১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণের কথা স্মরণ করে স্বাগত ভাষণে স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, এই ভাষণই পরবর্তীতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির গতিপথ নির্ধারণ করেছিল। ভাষণটিতে জাতিসংঘকে মানুষের সকল ভবিষ্যৎ আশা-আকাঙ্ক্ষা, নির্ভরতা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রস্থল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মরক্কো, আয়ারল্যান্ড, বার্বাডোস, ব্রুনেই দারুসসালাম, ওমান, সিয়েরা লিওন, জাপান, ভারত ও সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ। বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক এবং ইউএনডিপির প্রশাসক।