কারখানা খোলা রেখেই কঠোর লকডাউন

আগামী ১৪ এপ্রিল বুধবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে সাধারণ ছুটি ও কঠোর লকডাউন। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কঠোর লকডাউনে বা সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি বেসরকারি সকল প্রকার অফিস, আদালত, ব্যাংক-বিমা বন্ধ থাকবে। তবে, তৈরি পোশাকসহ উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

রবিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাপতিত্বে জুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এসব তথ্য জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবসহ উচ্চপদস্থ একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অনেকেই কথা বলতে রাজি হননি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অতিরিক্ত সচিব বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের সরকারি ছুটি থাকবে। তাই ১৫ এপ্রিল থেকে সাধারণ ছুটি শুরু হবে। প্রথম দফায় চলবে সাত দিন। ছুটিকালীন সময় সকল প্রকার সরকারি-বেসরকারি আধাসরকারি অফিস, ব্যাংক-বিমা, গণপরিবহন, বিমান, নৌ, রেল ও সড়ক পথ পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুপারিশ করে তা অনুমোদনের জন্য বৈঠকের সারাংশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হবে। এর জন্য কাজ শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। হয়তো রাতেই সামারি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে ফাইল মন্ত্রিপরিষদে ফিরে এলেই জারি করা হবে প্রজ্ঞাপন। রবিবার (১১ এপ্রিল) রাতে অথবা সোমবার (১২ এপ্রিল) এ আদেশ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, এবারের লকডাউন আসলেই কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে তা বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি বা সেনাবাহিনী গত বছরের মতো থাকবে কিনা তা তিনি জানাতে পারেননি।