রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ থাকলেও পাড়া-মহল্লায় যতক্ষণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা থাকছে, ততক্ষণ মানুষ ঘর থেকে কম বের হচ্ছে। পুলিশ এলাকা ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নামে মানুষের ঢল। খুলে যাচ্ছে দোকানের শাটার। আবার কোনও কোনও এলাকায় এম দৃশ্য আরও ঢিলেঢালা।
তবে রাজধানীর কোনও কোনও এলাকায় মুদি দোকানের জন্য নির্ধারিত সময়েও দোকান খুলে রাখতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে কেনাবেচার সব কাজই চলছে শাটার নামিয়ে। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে, চায়ের দোকানও খোলা। চলছে রাস্তায় যাতায়াত, চলছে আড্ডা। বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে যে, পুলিশ না দেখলেই হলো, করোনাভাইরাস ঠেকাতে বাসায় থাকা মুখ্য ইস্যু না।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে ঘরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু লকডাউনের তৃতীয় দিন থেকে শুরু হয় মানুষের অবাধ যাতায়াত। শুরুতে বের হতে হলে পুলিশের মুভমেন্ট পাস লাগবে বলা হলেও পঞ্চম দিন থেকে এসবের বালাই নেই। মানুষ আছে রাস্তায়-বাজারে, সবখানে। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষকে অন্তত ১৫ দিন ঘরে রাখতেই হবে।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার (১৯ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চলমান লকডাউন বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। পরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধের বিষয়ে গত ১২ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। সেই প্রজ্ঞাপনে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। সেটি আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানোর একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২২ এপ্রিল থেকে আরও সাত দিন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ ছিল লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ালে বর্তমান চেইনটা ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে এবং সংক্রমণ নিম্নগামী হবে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে ২২ থেকে ২৮ পর্যন্ত লকডাউনের সময় বাড়িয়ে সারসংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।