নেই পরিবহনের ব্যবস্থা, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই অফিস যাচ্ছেন তারা 

নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা না রেখে শিল্প কারখানাসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখায় বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী লোকজন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প উপায়ে অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। এ সুযোগে রিকশা ও সিএনজিগুলো তাদের থেকে নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।ফলে কেউ কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ ভ্যানে করে অফিসে যাতায়াত করছেন।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় অনেককেই রিকশা না পেয়ে অনেকেই ভ্যানে করে অফিসে যেতে দেখা গেছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, গণপরিবহন না থাকায় সকাল বেলায় রিকশা ও সিএনজিগুলো অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে। ৫০ টাকা ভাড়া চায় ৮০-১০০ টাকা। তাও যাত্রীদের চাপে রিকশা পাওয়া যায় না। একারণেই হেঁটে বা ভ্যানে করে অফিসে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

ভ্যানে করে অফিস যাচ্ছেন লোকজন

বাসাবো বৌদ্ধমন্দির এলাকায়ও একই অবস্থা দেখা গেছে। সেখান থেকেও মতিঝিলের বিভিন্ন ব্যাংক ও অফিসগামী মানুষকে ভ্যান যোগে অফিসে যেতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ায় কেউ কেউ হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। অফিসগামীদের অভিযোগ, অফিসগুলো নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করেনি। এ নিয়ে সরকারেরও কোনও তদারকি নেই। ফলে সাধারণ কর্মজীবী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
একই অবস্থা দেখা গেছে, নগরীর মাদারটেক, মালিকবাগ, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায়।

হেঁটেই অফিস যাচ্ছেন লোকজন

সকাল ৯টায় মতিঝিলে কর্মস্থলে যেতে রিকশার জন্য খিলগাঁও রেলগেট অপেক্ষা করছিলেন ইদ্রিস আলী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অফিস থেকে কোনও পরিবহন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। আগে ৬০-৭০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়েই অফিসে যেতাম। কিন্তু এখন সেই ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা। বাধ্য হয়েই হেঁটে অফিসে যাচ্ছি।’

হেঁটেই অফিস যাচ্ছেন লোকজন

বাসাবো থেকে গুলিস্তানে যাওয়ার জন্য ভ্যানে উঠেছেন ৮-১০ জন কর্মজীবী মানুষ। তাদের একজন জমির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রিকশা ভাড়া চাচ্ছে ১২০ টাকা। এখন জনপ্রতি ৪০ টাকা করে গুলিস্তানে যাচ্ছি।’