বিআরটিএ’র দালালচক্র ভাঙতে হবে: কাদের

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ)  দালাল চক্র ভাঙতে বললেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি খুলনা বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে এ নির্দেশ দেন।

বুধবার (২১ এপ্রিল)  খুলনা সড়ক জোন বিআরটিসি, বিআরটিএ'র কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

সেবা গ্রহীতাদের কাছে বিআরটিএ-কে আরও গ্রহণযোগ্য করার নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খুলনা বিআরটিএ-কে দালাল চক্র ভাঙতে হবে। না হলে এর দায় কিন্তু আপনাদের নিতে হবে। বাইরের দালালরা ভেতরের সহযোগিতা ছাড়া কী করে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেয়।’

ওবায়দুল কাদের এর আগে রাজশাহী, ঢাকাসহ কয়েকটি জোনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিআরটিএ’র দালালচক্র ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, বিআরটিএ’র  চালকদের সরকারি লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও ট্যাক্স টোকেন প্রদান, ফিটনেস সনদ ইত্যাদি সেবা দিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন থেকে এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য এবং গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।

সড়ক পরিবহন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যশোর-খুলনা মহাসড়কের নোয়াপাড়া থেকে যশোরের দিকে যেতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। এরমধ্যে তিন কিলোমিটার যান চলাচলের উপযোগী নয়। আপনারা যা-ই বলার চেষ্টা করেন না কেন, আমি কিন্তু প্রকৃত চিত্রটা পাই। আমি শুনতে চাই, কাজ কতটুকু এগিয়েছে। কতটুকু কাজের অগ্রগতি। কাজের অগ্রগতির পথে কোথায় কোথায় বাধা, তা জানতে চাই। আশা করবো, যশোর-খুলনা সড়ক নিয়ে আমাকে বারবার কথা শুনতে হবে না।’

মন্ত্রী পদ্মা সেতুর লিংক কালনা সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। নদীশাসনের অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। আগামী বছর জুন মাসে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল আমরা উন্মুক্ত করে দেবো। ইনশাল্লাহ, সময়ের মধ্যে আমরা এ সেতু চালু করতে পারবো। তার আগে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে।’

সরকার ভালো কাজের পুরস্কার দেবেন উল্লেখ করে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘যারা ভালো কাজ করবেন তারা পুরস্কৃত হবেন। আর যারা কাজে গাফিলতি করবেন তাদের তিরস্কারও প্রাপ্য। কেবল কাজ দিলেই হবে না, ঠিকাদার যাতে যথাসময়ে কাজ শুরু করে, সময়মতো শেষ করে— এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব ঠিকাদার গাফিলতি করে কাজ সময়মতো শুরু ও শেষ করতে চায় না, প্রয়োজনে কার্যাদেশ বাতিল করতে হবে। দরকার হলে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যে কাজ করতে কিছু অসুবিধা রয়েছে। সেটা আমাদের জানা রয়েছে। লকডাউনে রাস্তাঘাট ফাঁকা রয়েছে যানচলাচল নেই। এ কারণে কাজগুলোতে গতি দেওয়া সম্ভব। এ বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার উদ্যোগ নিতে হবে।’

মেরামতের জন্য বছরব্যাপী বরাদ্দ থাকে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘বর্ষায় রাস্তা মেরামত হলে দু-এক পশলা বৃষ্টি হলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজেই সারাবছর নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে বর্ষার আগে কাজে বেশি মনোনিবেশ করলে কাজ টেকসই হবে না। টেকসই করতে হলে সারা বছর আমাদের মেরামতের কাজ করতে হবে।’