করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলমান ‘লকডাউন’ দেওয়া হয় যাতে মানুষ ঘরে থাকে এবং সংক্রমণ কমানো যায়। তবে যত দিন যাচ্ছে সড়কে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এক রকম ঢিলেঢালাভাবে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ! রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য মহানগর ও শহরে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, অটোরিকশা ও রিকশা। মানুষও রাস্তায় নেমে পড়েছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নিম্ন আয়ের মানুষ ও যে সব অফিস খোলা রাখা হয়েছে, তাদের কর্মীদের নিয়মিত বাধ্য হয়ে অফিস করতে হচ্ছে।
বুধবার সকাল থেকে নগরীর ট্রাফিক সিগন্যালগলোতে যানবাহনের ব্যাপক চাপ দেখা গেছে। সকালে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যালে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে চলাচলরত যানবাহনগুলোকে। এসময় ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও মোটরসাইকেলসহ সবধরনের যানবাহন চলতে দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, গুলশান, রামপুরা, বাড্ডা, নতুন বাজার, প্রগতিসরণি এলাকায়। প্রগতিসরণিতে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে বাংলামোটর এলাকায়। সেখানেও যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। আশপাশের ফুটপাতসহ অন্যান্য স্থানগুলোতে মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে। কোথাও পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়নি।
গ্রাহকদের জরুরি আর্থিক সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন পূর্বক সীমিত আকারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার(২১ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত জারি করা সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ জানিয়েছে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।