পাকিস্তানের বর্বরোচিত হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর ঢাকা

বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার জন্য দায়ী পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের আসন্ন বিচারের জন্য প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কতগুলো বানোয়াট অভিযোগ এনে ২০ এপ্রিল পাকিস্তান এক বিবৃতিতে নির্দোষ বাঙালিদের বিচারের যে হুমকি দিয়েছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা সে ব্যাপারে কঠোর ভাব ব্যক্ত করেছেন। বাসসের খবরে প্রকাশ, ভারত-বাংলাদেশ যুক্ত বিবৃতির ওপর পাকিস্তানের ২০ এপ্রিলের বিবৃতি সম্পর্কে এদিন এই মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের বিচার হলে তা হবে ব্ল্যাকমেইল করার এক নগ্ন প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক রীতির লঙ্ঘন করে বিচারের এক বর্বরোচিত হুমকি। এর ফলে মানবিক সমস্যাগুলো সমাধানের অযোগ্য পরিস্থিতি তৈরি হবে।

ওই মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তান সরকারের ওই বিবৃতিতে এমন সব কথা বলা হয়েছে, যা ধোপে টেকে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার আশা করে, যুক্ত ঘোষণা মোতাবেক মানবিক সমস্যাগুলো সমাধানের পথে বিবৃতির ওই বক্তব্য বাধা সৃষ্টি করবে না।

মুখপাত্র বলেন, আগ্রহের সঙ্গে লক্ষ করা গেছে, পাকিস্তান সরকার এখন বাঙালিদের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এ ব্যাপারে এযাবৎকাল পাকিস্তান যে মনোভাব দেখিয়ে আসছিল তা থেকে এটি একটি শুভ পরিবর্তন।

আর্ট গ্যালারি দেশের দর্পণ

বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ২৩ এপ্রিল বলেন, একটি দেশের আর্ট গ্যালারি হচ্ছে সেই দেশের দর্পণ, যার মাধ্যমে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা, চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত হয়। চট্টগ্রাম আর্ট গ্যালারির উদ্বোধন উপলক্ষে এক বাণীতে বঙ্গবন্ধু উপরোক্ত মন্তব্য করেন। প্রখ্যাত লেখক ও চিন্তাবিদ আদ্রে মালরো গ্যালারির উদ্বোধন করেন এবং বলেন, গ্যালারি ভবনের মাধ্যমে শিল্পীরা জনগণকে চিত্রকলা সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিতে পারেন। চট্টগ্রাম আর্ট গ্যালারি উদ্বোধনের জন্য তিনি বঙ্গবন্ধুকে ধন্যবাদ জানান। মালরো আরও বলেন, দেশের জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

যুদ্ধের খায়েশ মিটিয়ে দেওয়া হবে

‘পাকিস্তান যদি আবারও ভারতের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার স্পর্ধা দেখায় তবে আমাদের বাহিনী তাদের এমন শিক্ষা দেবে যা কখনও ভুলবার নয়।’ ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বলে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ার করে দেন।

এদিন এক সাঁজোয়া রেজিমেন্ট পরিদর্শনকালে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে যুদ্ধে অর্জিত সাফল্য বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্টভাবে সত্য তুলে ধরেছে যে, ভারত একটি গণ্য করার মতো শক্তি।

সেদিনও ঝড়ে বিপর্যস্ত দেশ

ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জের পর রাজশাহীতে ঝড় হয়েছিল এইদিন। রাতে রাজশাহীর বোয়ালিয়া, গোদাগাড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ওপর দিয়ে ৬০ মাইল বেগে ঝড় প্রবাহিত হলে তিন ব্যক্তি নিহত ও শতাধিক আহত হয়। গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের খবর পাওয়া যাচ্ছিল।

এদিকে পাবনায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়। বাংলাদেশের একের পর এক দুর্যোগে ভারতের রাষ্ট্রপতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ ও প্রধানমন্ত্রী ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হবে।