দুই কোম্পানির দুই ডোজ নিয়ে যা জানালো স্বাস্থ্য অধিদফতর

দুই কোম্পানির দুই ডোজ টিকা নেওয়ার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও কিছু জানায়নি। তবে তারা এ বিষয়ে কিছু জানালেই তা অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

সোমবার (৩ মে)  দুপুরে ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উল্লেখ্য, দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এই টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে ৩ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা থাকলেও টিকা এসেছে মোট এক কেটি দুই লাখ ডোজ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে চুক্তির ৩০ লাখ এবং মার্চ মাসে ৫০ লাখ এবং এপ্রিল মাসের ৫০ লাখ টিকা এখনও দেশে আসেনি। অর্থাৎ চুক্তির এক কোটি ৩০ লাখ টিকা এখনও পায়নি বাংলাদেশ।

ইতোমধ্যে ভারত রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দেশে টিকার মজুত ফুরিয়ে যাবে। এমতাবস্থায় দেশে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহীতারা একই কোম্পানির দ্বিতীয় ডোজ পাবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন এবং দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষা করছেন, তারা যদি অক্সফোর্ডের টিকা না পান, সে ক্ষেত্রে কী করবেন জানতে চাইলে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন,  ‘আপাতত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং টিকা প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে আমাদের নির্দিষ্ট করে কোনও পরামর্শ দেয়নি। অর্থাৎ, প্রথম ডোজ যে কোম্পানির গ্রহণ করেছেন, দ্বিতীয় ডোজও সেই কোম্পানির সেই টিকাই গ্রহণ করতে হবে। অন্য কোনও টিকা গ্রহণ করা যাবে কিনা, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়নি।’ তবে যখনই এ বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়া যাবে, তখনই সেটা দেশবাসীকে জানানো হবে বলেও জানান তিন।

অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা ১২ সপ্তাহ অপেক্ষা করবো। ভ্যাকসিন নিয়ে সারা বিশ্বে এক ধরনের ডিপ্লোম্যাসি আছে, এক ধরনের রাজনীতি আছে। তারপরও মানবতার চূড়ান্ত জয়গান যেন হয়। আমরা এ পর্যন্ত দেখেছি, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছে। যে কারণে আস্থা রাখতে চাই, আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যাবো। তাহলে আমরা দ্বিতীয় ডোজটিও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে শেষ করতে পারবো।’