সমুদ্র আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোন (সংশোধনী) আইন, ২০২১-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (৩ মে) এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের ওপর বাংলাদেশের মানুষের সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোন আইন, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেন। প্রায় ৪৫ বছরের পুরনো হওয়ায় আইনটি যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ধারাবাহিতায় আইনটিকে কেবিনেটে অনুমোদন দেওয়া হলো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৮২ সালে আনক্লস জাতিসংঘে পাস হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আনক্লস ১৯৮২ আন্তর্জাতিক আইনসমূহ এবং সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত মামলার রায়সমূহের যথাযথ প্রতিফলনের জন্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোন আইন, ১৯৭৪-কে অধিকতর সংশোধনপূর্বক নতুন আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয় এবং পরে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং গ্রহণ করা হয়।

সংশোধিত আইনে ৩৫টি ধারা রয়েছে। এরমধ্যে বিদেশি জাহাজ বা ডুবোজাহাজের বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ফৌজদারি এখতিয়ার থেকে শুরু করে মহীসোপান, এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন, শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি, কোর্ট স্থাপনসহ বিভিন্ন উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।