‘দ্বিতীয় ডোজ আরও এক সপ্তাহ চালানো যাবে’

যে পরিমাণ অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন মজুত আছে তাতে করে প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের শতভাগকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম। রবিবার (১৬ মে) স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি একথা জানান।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া চলছে। এখন পর্যন্ত যা মজুত আছে দ্বিতীয় ডোজ যাদের পাওয়ার কথা তাদের শতভাগকে আমরা দিতে পারবো না। বিভিন্ন কূটনৈতিক মাধ্যমসহ অন্যান্য চ্যানেলে যোগাযোগ চলছে। আমরা আশা করছি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার যে ঘাটতি আছে, ভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করতে পারবো। আমরা ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেটি কোনও কোনও দেশে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। কাজেই সে ক্ষেত্রে কিছু সময় আমরা পাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে যে আলোচনা চলছে সিনোফার্ম ভ্যাকসিন নিয়ে, আমরা আশা করছি, এই মাসের শেষে অথবা সামনের মাসের শুরুতে আশার খবর শোনাতে পারবো।’

ভ্যাকসিন কার্যক্রম বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক পরচালক আরও বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে কী পরিমাণ মজুত আছে তার ওপর নির্ভর করে কবে নাগাদ বন্ধ হতে পারে। আমাদের কাছে যে পরিমাণ মজুত আছে তাতে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ চলতে পারবে বলে ধারণা। তবে এটি প্রতিষ্ঠানভেদে এক-দুই দিন কম বেশ হতে পারে। কারও যদি আজকে মজুত শেষ হয়ে যায়, তাহলে কালকে কাউকে আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। মজুত শেষ হয়ে গেলে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন করে সংগ্রহ করতে না পারি। যারা অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রেজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের অন্য কোম্পানির ভ্যাকসিন দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সুযোগ নেই।’