‘টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়নি’

দেশে টিকা উৎপাদনের জন্য এখনও কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। রবিবার (১৬ মে) তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, টিকা তৈরির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে কোনও কোনও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এটা ভুল নিউজ।

এদিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরও। এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসকে চীনা সিনোফার্ম টিকা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। প্রকৃতপক্ষে টিকা উৎপাদনের অনুমতি এখনও কাউকে দেওয়া হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে এ ধরনের খবর প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি না করার অনুরোধ করা হয়।

প্রসঙ্গত, আজ বেশ কিছু গণমাধ্যমে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের বরাতে বলা হয়, দেশে চীনের সিনোফার্ম টিকা উৎপাদনের জন্য দেশীয় কোম্পানি ইনসেপটাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এটি সঠিক খবর নয় বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। তবে দেশের তিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা যাচাই চলছে বলেও জানিয়েছে তারা।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে সভাপতি করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে সদস্য সচিব করে গঠিত হওয়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা সংগ্রহ বিতরণ বিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির সভায় দেশের তিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়।

কোম্পানি তিনটি হচ্ছে, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।