জয়শঙ্কর-মোমেন ফোনালাপ, টিকা পাঠানোর অনুরোধ

বাংলাদেশে শিগগিরই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠানোর জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (১৮ মে) টেলিফোনে আলাপকালে ড. মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ অনুরোধ করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজের চাহিদাসহ বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান। এসময় ড. মোমেন ভারতে ঘূর্ণিঝড়সহ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন এবং  তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। এছাড়া মৃতব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

ড. মোমেন বলেন, ‘ভারত যেহেতু সময় মতো  টিকা দিতে পারেনি, সেজন্য বাংলাদেশকে দ্রুত টিকা পাঠানোর জন্য তিনি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন। বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করতে পারেন বলে ড. মোমেন উল্লেখ করেন। এস জয়শঙ্করও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরাধ করবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক এ এফ এম হকের নেতৃত্বে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপকসহ সেদেশে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন স্তরের ১০১৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশি-আমেরিকানদের সই করা একটি আবেদন হোয়াইট হাউজে পাঠানো হয়েছে। 

এছাড়া বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখা, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং জর্জিয়ার স্টেট সিনেটর শেখ রহমানও বাংলাদেশকে টিকা দেওয়ার জন্য হোয়াইট হাউজকে অনুরোধ করেছেন বলে জানা গেছে। কারণ, হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, তারা অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের হার ও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার তালিকায় নেই। যেসব দেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেশি সেসব দেশ  যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে।