(বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর সরকারি কর্মকাণ্ড ও তার শাসনামল নিয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বাংলা ট্রিবিউন। আজ পড়ুন ১৯৭৩ সালের ২২ মে’র ঘটনা।)
ভারতের পরিকল্পনামন্ত্রী ডিপি ধর ১৯৭৩ সালের এই দিন (২২ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সুবিমল দত্ত এবং ভারতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এস চক্রবর্তী। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাদের ৪৫ মিনিটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
ডিপি ধর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ এই সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে মতামত বিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, মি. ধরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দল ৪ দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় আসেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার সময় ডিপি ধর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম।’
আগামী ২৩ মে থেকে তিন দিনব্যাপী এশিয় শান্তি সম্মেলন শুরু হবে। ঢাকার শেরেবাংলা নগরে ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টায় এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্ব শান্তি পরিষদ এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হবে। বঙ্গবন্ধু এশিয়ার দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি এই পদকের অধিকারী হলেন। এর আগে ভারতের নেহেরু আন্তর্জাতিক এই শান্তি পদক লাভ করেন।
বঙ্গবন্ধুর পুরস্কার
বিরোধী সংগ্রামে সোচ্চার কণ্ঠস্বরে উচ্চকিত এই চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের পথ আছে বাধা, আছে বিঘ্ন, আছে ঝড়, আরেও আছে রক্তের সিঁড়িপথ। এই পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ নয়। এ ভাবেই আলোর পথের যাত্রীরা এগিয়ে যাবে। এগিয়ে যাবে শোষণমুক্ত সুনিশ্চিত শান্তির সন্ধানে।
এশিয়ায় শান্তি সম্মেলনের এটাই হচ্ছে সত্যিকারের পটভূমি। পিন্ডির ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়ে শ্যামল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার ছাড়পত্র ছিনিয়ে এনেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এশিয়ার বুকে আরেকটি স্বাধীন সার্বভৌম শান্তিকামী প্রগতিশীল রাষ্ট্রের জন্ম। জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতির ওপর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত, এই অবস্থানের নিভৃতে আমরা বিশ্বাসী। আমাদের মুক্তি আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই আমরা বিশ্ব শান্তি পরিষদের সক্রিয় সমর্থন করছি। এর সঙ্গে মানুষের ব্রাহ্মণচৌরপিশাচ কথা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে।