আসছে বজ্রঝড়, হতে পারে বন্যাও

আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকতে পারে মৌসুমি বায়ু। শুরু হবে বর্ষা। গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে মুক্তি পাবে দেশের মানুষ। তবে বর্ষা শুরুর পরপরই হতে পারে বজ্রঝড়। চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি বজ্রঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। একইসঙ্গে ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলের দিকে বন্যারও শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বজ্রঝড় হচ্ছে ভারী বৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টির সঙ্গে প্রচুর বজ্রপাত।

আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, প্রতিবছরই এই সময় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আকাশে বজ্রমেঘ সৃষ্টি হয়। সেই কারণে হয় বজ্রঝড়। তিনি বলেন, এই সময় বৃষ্টি হলে খোলা আকাশে নিচে থাকা খুবই বিপজ্জনক। তাই খুবই সাবধানে থাকতে হবে। বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে হলে সতর্ক থাকা বেশি জরুরি।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, জুন মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। জুন মাসের প্রথমার্ধে সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এ মাসে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ২ থেকে ৩ দিন মাঝারি বা তীব্র বজ্রঝড় ও দেশের অন্য এলাকায় ৩ থেকে ৪টি হালকা বা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। 

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সীতাকুণ্ডে ১৯৩ মিলিমিটার। এছাড়া ফেনীতে ৯৯, সন্দ্বীপে ৮৮, ঢাকায় ৮৫, চট্টগ্রামে ৭৩, মাইজদি কোর্টে ৭২, নেত্রকোনায় ৫৯, ময়মনসিংহে ৪৮, কুতুবদিয়ায় ৪৫, ভোলায় ৪৪, পটুয়াখালীতে ৪১, চাঁদপুরে ৩৯, সিলেটে ৩৮, মোংলা ও রাঙ্গামাটিতে ৩৭, শ্রীমঙ্গলে ৩৫, টাঙ্গাইলে ৩৩, বরিশালে ২৮, কক্সবাজারে ২৭, টেকনাফ ও কুমিল্লায় ২৫, হাতিয়ায় ২৪, যশোর ও মাদারীপুরে ১৯, চুয়াডাঙ্গায় ১৭, নিকলিতে ১৬, খেপুপাড়ায় ১৫, বদলগাছিতে ১৪, সাতক্ষীরা ও রাজশাহীতে ১২, খুলনায় ১০, তাড়াশে ৯, গোপালগঞ্জে ৭, কুমারখালীতে ৫, ফরিদপুরে ৩, ডিমলা ও ঈশ্বরদীতে ২ ও বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।