এক কোটি ২৩ হাজার ডোজ কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া সম্পন্ন

দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি ২৩ হাজার ১৫১ ডোজ। এরমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ তিন হাজার ১৩৬ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে।

দেশে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড টিকায়। সেরামের সঙ্গে তিন কোটি ডোজের চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের। প্রতিমাসে সেখান থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত এসেছে মাত্র এক কোটি দুই লাখ ডোজ। সে হিসাবে দেশে এখন টিকার ডোজ মজুত আছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৪৯ ডোজ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া ৪২ লাখ তিন হাজার ১৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯১৫ জন আর নারী ১৫ লাখ ১৭ হাজার ২২১ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ নয় হাজার ৬৫ জন আর নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন।

এদিকে, টিকা সংকটের কারণে প্রথম ডোজ নেওয়া সবাই এখনই দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন গত ২৩ মে জানিয়েছেন, ১৫ লাখের কাছাকাছি মানুষের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা পেতে দেরি হবে। টিকার মজুত এই সপ্তাহের পর শেষ হওয়ার কারণেই দেরি হবে বলে জানানো হয়। তবে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী অধিদফতর।