জলবায়ু সম্পৃক্ত প্রকল্পও বাস্তবায়ন করছে ভূমি মন্ত্রণালয়

ভূমি মন্ত্রণালয় জলবায়ু সম্পৃক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ডকুমেন্টেসে ‘জলবায়ু বাজেট প্রতিবেদনে’ উঠে এসেছে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো হলো - 'গুচ্ছগ্রাম (ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলেটেশন প্রকল্প-২য় পর্যায়)' ও 'চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্প-৪ (সিডিএসপি-৪)'। এছাড়া জলবায়ু সম্পৃক্ত দুটি প্রকল্প একই মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এগুলো হলো - ' স্ট্রেনদেনিং অ্যাক্সেস টু ল্যান্ড অ্যান্ড প্রপার্টি রাইটস টু অল সিটিজেনস অব বাংলাদেশ' ও 'স্ট্রেনদেনিং গভর্নেন্স ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট (কম্পোনেন্ট-বি: ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)'। শনিবার (৫ জুন) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের বাজেট কাঠামোয় উল্লিখিত কাজগুলোর মধ্যে জলবায়ু সম্পর্কিত দুটি হচ্ছে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা আইনসমূহ যুগোপযোগীকরণ’ এবং ‘ভূমিহীন অতিদরিদ্র এবং নিম্নবিত্তদের পুনর্বাসন ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন’।

এছাড়া, শত বছরের মহাপরিকল্পনা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত ১২ সদস্যের ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ব-দ্বীপ পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি হ্রাস।

অন্যদিকে, ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় ভূমি ব্যবস্থাপনার অটোমেশনের ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে উঠে আসে। বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়, ভূমি ব্যবস্থাপনায় নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, পর্চা সংগ্রহ, সকল সেবা দ্রুত এবং ভোগান্তিমুক্ত করার উদ্দেশ্যে সারা দেশে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ করা হবে। ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা ১৮টি সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, কৃষিজমি সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সারাদেশে মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং করা হবে। জমি ব্যবহারের প্রকৃতি অনুযায়ী ডিজিটাল জোনিং করা হলে দেশের কৃষিজমি সুরক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে এবং ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। দেশের সকল রাজস্ব আদালতের মামলাসমূহ একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে দেশের সকল রাজস্ব আদালতের মামলা নিষ্পত্তিতে গতিশীলতা আসবে এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

উল্লেখ্য, ভূমি ক্রয়-বিক্রয় কিংবা হস্তান্তরের পর ভূমির নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) ও নামজারির (মিউটেশন) সমন্বয়সাধনের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইতোমধ্যে দলিল বুনিয়াদে নামজারির কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দলিল গ্রহীতার থেকে উপজেলা ভূমি অফিস কিংবা সার্কেল অফিসের আলাদা করে নামজারির আবেদন গ্রহণের প্রয়োজন হবে না।