আগামীকালও থাকবে দিনভর বৃষ্টি

মৌসুমি বায়ু এখন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলে এসেছে। এর প্রভাবে আজ দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। সারা দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলেন নগরবাসী। আগামীকালও একই থাকবে আবহাওয়া পরিস্থিতি।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করেছে মৌসুমি বায়ু। শুরু হয়ে গেলো বর্ষার বৃষ্টি। এখন দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও এগিয়ে আসবে। আগামী কয়েকদিন আকাশে ভারী মেঘ থাকবে। ফলে অনেক এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

সকালে অফিসগামী সাধারণ মানুষ এবং সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার সময় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

সকালে যানবাহনের সংকট দেখা দেয়। তেমনি বিকালে যানবাহন সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয় জলাবদ্ধতা, কর্দমাক্ত রাস্তায় চলাচল। জলাবদ্ধতার ফলে অনেক এলাকায় যুক্ত হয় যানজট। সব মিলিয়ে মহাভোগান্তির মধ্যে আজকের দিন কাটিয়েছে নগরবাসী। আগামীকালও একই অবস্থা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ১০০ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রামে ৯৮, সন্দ্বীপে ৯৭, পটুয়াখালীতে ৯১, ফেনীতে ৮২, কক্সবাজারে ৭৬, কুতুবদিয়ায় ৬১, মাইজদীকোটে ৫১, চাঁদপুরে ৫০, ভোলা ও  রাঙামাটিতে ৪৫, কুমিল্লায় ৪২,  বগুড়ায় ২৬, ফরিদপুরে ২৫, টাঙ্গাইলে ২১, কুমারখালীতে ১৭, ঢাকায় ১৬, শ্রীমঙ্গলে ১৪, সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে ১৩, বরিশালে ১২,  নিকলিতে ১১, রাজশাহী ও মাদারীপুরে ১০, খুলনা ও তাড়াশে ৯, যশোরে ৬, চুয়াডাঙ্গায় ৫,  রাজারহাট ও ঈশ্বরদীতে ৩, খেপুপাড়া ও সিলেটে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।      

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত চলে এসেছে। এটি আরও এগিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার অবস্থার জন্য আবহাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল,  চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও  খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।