লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এগিয়ে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এগিয়ে আছে। জুনের এ সময়ে ১৪ দশমিক ৫ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, কাজ শেষ হয়েছে সাড়ে ১৭ ভাগ। একই গতিতে কাজ চলতে থাকলে নির্ধারিত ২০২৩ সালের জুন মাসের আগেই শেষ হবে।

পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনাল নির্মাণকাজ ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। বেবিচক বলছে, সম্পূর্ণ অটোমেটেড হবে তৃতীয় টার্মিনাল। মেট্রোরেলও যুক্ত হবে টার্মিনালের সঙ্গে, বিমানবন্দরে থাকবে একটি পৃথক স্টেশন। ফলে বিমানবন্দর থেকে বের না হয়ে যাত্রীরা নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। একই সঙ্গে মেট্রোরেলে সরাসরি বিমানবন্দরে আসতে পারবেন। হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য একটি টানেল বিমানবন্দর ও হজ ক্যাম্পকে যুক্ত করবে। ফলে আশকোনার হজক্যাম্প থেকে হজযাত্রীরা সরাসরি বিমানবন্দরে প্রবেশ করবেন।

গত শনিবার (৫ জুন) নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এ সময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল। এ টার্মিনাল চালু হলে আগের চেয়ে বেশি মানুষ আধুনিক সেবা পাবে।

বেবিচক জানিয়েছে, নতুন এ টার্মিনাল দেখতে হবে পদ্মফুলের মতো। টার্মিনালের মূল ভবনের কলাম, সিলিংসহ বিভিন্ন স্থানের ডিজাইনেও পদ্মফুলের নকশা ব্যবহার করা হবে। তৃতীয় টার্মিনালের ভবন হবে তিনতলা। ভবনটির আয়তন হবে ২ লক্ষ ৩০ হাজার বর্গমিটার এবং লম্বা ৭০০ মিটার ও চওড়া ২০০ মিটার। বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর বছরে ৮০ লাখ যাত্রী ধারণে সক্ষম। এটি নির্মিত হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বছরে মোট ২ কোটি যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। এ ভবনটির নকশা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি রোহানী বাহারীন। তিনি এনওসিডি-জেভি জয়েন্ট ভেনচার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি করপোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের (সিঙ্গাপুর) স্থপতি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবনের নকশা করেছেন রোহানী বাহারীন।

করোনা মহামারিতেও একদিনের জন্যেও কাজ বন্ধ হয়নি জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন,  আমরা এখন প্রত্যাশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে।

এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্কিং করা যাবে। অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের (এডিসি) মাধ্যমে মিতসুবিশি ও ফুজিটা, জাপান এবং স্যামসাং, কোরিয়া এ তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের নির্মাণকাজ করছে। টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।