এবার চীনের সিনোভ্যাকের সঙ্গে আলোচনা

দেশে টিকা সংকটের মুহূর্তে চীনের সিনোফার্মা কোম্পানির সঙ্গে ক্রয় চূড়ান্ত করে ফেলেছিল সরকার। কিন্তু একজন সরকারি কর্মকর্তা ওই টিকার দাম প্রকাশ করে দেওয়ায় সেটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় আরেকটি চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বুধবার (৯ জুন) রাতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিনোভ্যাককে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশও ইমার্জেন্সি অথরাইজেশনের অনুমতি দিয়েছে। সিনোভ্যাকের সঙ্গে আমরা এ সপ্তাহেই আলোচনা শুরু করবো।’

চীনের একটি কোম্পানি বিভিন্ন দেশে যৌথ উৎপাদন নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরাও জানি বাংলাদেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির  মোটামুটি সক্ষমতা আছে। সুতরাং অনেকগুলো অপশন নিয়ে কাজ করছি।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ছয় লাখ টিকা চীন থেকে আগামী ১৩ জুন আসবে বলে আশা করছি। টিকা সংগ্রহের জন্য কথাবার্তা চলছে। আমরা আমাদের কাগজপত্র তাদের পাঠিয়েছি এবং অপেক্ষা করছি  উত্তরের জন্য।

মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, রাশিয়ার সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। আমরা ভেবেছিলাম এ সপ্তাহে তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা হবে। কিন্তু আমরা এখনও আমাদের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে তারিখের অপেক্ষায় আছি।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের কাছে উদ্বৃত্ত টিকা আমরা চেয়েছি। এটি পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন আছে কিন্তু আমি জানি না এত দেরি কেন হচ্ছে?

তিনি বলেন, এ টিকার স্বল্প সময় পরে অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং সেজন্য শেষ মুহূর্তে দিলে কতটুকু লাভ হবে সেটির বিবেচনার বিষয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশের কাছে চাওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।