কোরবানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে যা বললেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে কোরবানির সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যাতে কোরবানি হয় সে জন্য স্থানীয় সরকার ইউনিটসহ প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও মাঠ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করবে। প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে। কোন এলাকায় প্রয়োজন হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত হবে। কোনোভাবেই শৃঙ্খলা যাতে ভঙ্গ না হয় সেজন্য যেখানে যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা করা হবে।

রবিবার (২৭ জুন) বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, কোরবানির পশু পরিবহনে যাতে ফেরিতে বা রাস্তায় সমস্যা সৃষ্টি না হয় তা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে। পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়কে চাঁদাবাজি অথবা ফেরিঘাটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকা অথবা অন্য কোনোভাবে সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে প্রতিকূল অবস্থার তাৎক্ষণিক সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে মনিটরিং সেল থাকবে এবং কন্ট্রোল রুম চালু করা হবে। খামারিদের চাহিদার আলোকে সড়ক পথের পাশাপাশি রেলের মাধ্যমে পশু পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে যাতে কেউ ভয়ংকর পরিস্থিতির ভেতর না পড়ে সেটাই আমরা চাই। এ বছরও সম্পূর্ণ দেশীয় গবাদিপশু দিয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। দেশে চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত পশু রয়েছে। বিদেশ থেকে গবাদিপশু আমদানির প্রয়োজন নেই। সীমান্ত পথে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে যাতে গবাদিপশু আসতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতরের প্রতিনিধি এবং ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।