ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের দেখভালে জাতিসংঘ-সরকার একমত

ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের দেখভাল করার দায়িত্ব নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে বিভিন্ন শর্তের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে সরকার। কয়েকদফা আলোচনার পর বুধবার বিকালে মিয়ানমার ও জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালকদের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোর আলোচনায় এ মতৈক্য হয় বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র। সব ঠিক থাকলে আগস্টে সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের চুক্তি সই হবে এবং সেপ্টেম্বর থেকে দায়িত্ব নিতে পারে বৈশ্বিক সংস্থাটি।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বুধবার (২৮ ‍জুলাই) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল। জাতিসংঘের কিছু চাহিদা ছিল। দুটোকে এক ছাদের তলায় আনতে সমস্যা হচ্ছিল। বেশ কয়েক রাউন্ড বৈঠক হয়েছে। অবশেষে আজ মতের মিলে পৌঁছানো গেছে।’

কী বিষয়ে মিল হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে পলিসির অধীনে জাতিসংঘ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তাতেই একমত হয়েছে সবাই। জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিস তাদের সদর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন নেবে।’

জাতিসংঘের সঙ্গে মূল আলোচনা করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। তাদেরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সম্মতির বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

আগস্টে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কার্যক্রম শুরুর জন্য জাতিসংঘের কিছু প্রস্তুতির দরকার হতে পারে। সেজন্য আশা করছি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তারা ভাসানচরে কাজ শুরু করবে।’

কক্সবাজারের মতো করে জাতিসংঘ ভাসানচরে কার্যক্রম পরিচালনা করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছুটা আলাদা হবে। কারণ দুই জায়গার বাস্তবতা আলাদা। কিছু ক্ষেত্রে মিল থাকতে পারে।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘কক্সবাজারে একটি বিপর্যস্থ পরিস্থিতির মধ্যে জাতিসংঘকে কাজ শুরু করতে হয়েছিল। কিন্তু এখানে (ভাসানচর) সব ইতিবাচক অবস্থায় আছে। আমি নিশ্চিত এখানে কাজের গুণগতমান অনেক ভালো হবে।’

মিয়ানমার কারিকুলামে শিক্ষা, সীমিত চলাচল, জীবনযাপনের সীমিত সুযোগ, জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয় এই চুক্তিতে থাকবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।